Posts

Showing posts from January, 2021

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৩য় পর্ব)

Image
ধ্বংসস্তুপের উপরে দাঁড়িয়ে কোন এক অতীত থেকে। স্থান : পুন্ড্রনগর (মহাস্থানগড়) পুন্ড্রনগরের সবচেয়ে উঁচু ঢিবির উপরে অবস্থিত শাহ সুলতান বলখী মাহী সওয়ার (রঃ) এর মাজার ও সম্রাট ফররুখশিয়ারের আমলের মসজিদ। মাজার থেকে একটু দূরে রয়েছে কবরস্থান, যেখানে পড়ে আছে অনেক পাথরখন্ড।  মাজারের অদূরে কয়েকটা গাছের নিচে একা ছবির এই তোরণটি দাঁড়িয়ে। তোরণটি কিসের তা জানি না। তবে সেটাতে মুসলিম-পূর্ব যুগের পাথরের ব্যবহার সুস্পষ্ট। মাজারটি যে ঢিবিতে অবস্থিত তার নিচে নিঃসন্দেহে চাপা পড়ে আছে গুপ্ত বা পাল আমলের কোন স্থাপনা। এই বিষয়টা সুনিশ্চিত হলেও ঢিবিতে আর খননকাজ করা কখনো সম্ভব নয়, যেহেতু ঢিবির উপরে মাজার ও প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। সুতরাং পুন্ড্রনগরের একটি অধ্যায় অপঠিতই আছে ও থাকবে। তবুও ঘুরতে ঘুরতে তোরণটিতে আমার দৃষ্টি আটকে যায়, তাই এটা হারিয়ে যাবার আগেই ফ্রেমে বেঁধে রাখলাম। Follow us in Facebook

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (২য় পর্ব)

Image
ছবিতে: টেরাকোটা/ পোড়ামাটির ফলক ও পাথরের কারুকার্য স্থান: পুন্ড্র-বরেন্দ্রীর গৌরব সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর) টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক। পাহাড়পুরের কেন্দ্রীয় মন্দিরগাত্র। কেবল দেবদেবী নয়, ঠাই পেয়েছে সাধারণ মানুষের কথাও এসব টেরাকোটায়  টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক  নীহাররঞ্জন রায়ের " বাঙালীর ইতিহাস - আদিপর্ব " এ একটা জায়গায় হঠাৎ নজরে পড়লো সোমপুর বিহার নিয়ে একটি কথা। পতনোন্মুখ পাল সাম্রাজ্যের সাথে সাথে সোমপুর মহাবিহারের ফুরিয়ে আসা সময়ের গল্প এটি: "একাদশ শতকের শেষাশেষি বা দ্বাদশ শতকের গোড়ায় সোমপুরের এই বিহারে যতি বিপুল শ্ৰীমিত্রের পরম গুরুর গুরু, যতি করুণাশ্ৰীমিত্র বাস করিতেন। তখন একদিন বঙ্গালী-সৈন্যদল আসিয়া বিহারে অগ্নিসংযোগ করে; প্ৰজ্বলমান আলয়ে দেবতার পদাশ্ৰয় করিয়া করুণাশ্ৰী পড়িয়ছিলেন; তবুও সেই গৃহ পরিত্যাগ করেন নাই; সেই ভাবেই অগ্নিদগ্ধ হইয়া তিনি প্রাণত্যাগ করেন। বিপুলশ্রীমিত্র অগ্নিদাহে বিনষ্ট প্রকোষ্ঠগুলির সংস্কার সাধন করেন, বিহার-প্রাঙ্গণে একটি তারা-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সোমপুরীর বুদ্ধমূর্তিকে বিচিত্র স্বর্ণাভরণে অলংকৃত করেন। তিনি নিজে বহুকাল বশী সন্ন্যাসীর মতো সেই ব