Posts

Showing posts from January, 2022

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (২৯ তম পর্ব)

Image
|| বৈগ্রাম তাম্রশাসন ও কিছু তথ্য || (Baigram Copper Inscription) যেখানেই ইতিহাসের গন্ধ পাই, সেখানে ছুটে চলে যাই। পুরনো নথিপত্র পড়তে গিয়ে এবারে খেয়াল করলাম, বৈগ্রাম জায়গাটি বাড়ি থেকে মাত্র ২৪/২৫ কিলোমিটার দূরে। অমনি বেরিয়ে পড়লাম। উদ্দেশ্য গুপ্ত যুগের পুরাকীর্তি দেখবো। বাংলায় গুপ্তযুগের তাম্রশাসন যেসকল স্থানে পাওয়া গিয়েছিল, দিনাজপুর জেলার দামোদরপুর ও বৈগ্রাম তাদের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯১৫ সালে দামোদরপুরে দুটি পুরনো পুকুরের মাঝখান দিয়ে রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে পাঁচ-পাঁচটা তাম্রশাসন, তা-ও আবার গুপ্তযুগের, প্রথম কুমারগুপ্তের শাসনামলের, সাল ১২৪ গুপ্তাব্দ (৪৪৩/৪৪ খ্রিষ্টাব্দ)। এর পনের বছর পরে ১৯৩০ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বৈগ্রামে পুরনো পুকুর খনন করতে গিয়ে পাওয়া গেল প্রথম কুমারগুপ্তের আরো একটি তাম্রশাসন। বাংলায় গুপ্ত শাসনের অনবদ্য দলিল এ তাম্রশাসনগুলো। বৈগ্রাম তাম্রশাসন নিয়ে কয়েকটি তথ্য দিবো এখানে। ১২৮ গুপ্তাব্দ, মানে ৪৪৭/৪৮ খ্রিষ্টাব্দে এ তাম্রশাসনটি জারীকৃত। কোন ভূমিদান বিষয়ক নয়, বরং জমি ক্রয়ের দলিল এটি। পুণ্ড্রবর্ধনভুক্তির পঞ্চনগরী বিষয়ের বৈগ্রাম নিবাসী ভোয়িল ও ভাস্কর

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (২৮ তম পর্ব)

Image
|| পুণ্ড্রের রত্নভাণ্ডার: প্রাচীন মুদ্রা ||  ১৮৬৪ সাল। মহাস্থানগড় থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বামনপাড়া গ্রামের নিকটস্থ সুউচ্চ একটি প্রাচীন ঢিবিতে এক কৃষক মাটি খুঁড়তে গেলে বেরিয়ে এল বারো প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট একটি সুপ্রাচীন স্থাপনা। পাওয়া গেল ইতিহাসের নানা অমূল্য সম্পদ। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল কয়েকটি স্বর্ণমুদ্রা। ইতিহাসবিদ হেনরি বেভারিজ এর থেকে দুটি স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রহ করে এশিয়াটিক সোসাইটিতে প্রেরণ করেন, যার একটি গুপ্তসম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের এবং অপরটি কুমারগুপ্তের। খুব সম্ভবত বাকী মুদ্রাগুলোও গুপ্ত আমলের, যেগুলোর কোন হদিস পরবর্তীতে পাওয়া যায় নি। কুমারগুপ্তের মুদ্রাটির একপাশে " শ্রীমহেন্দ্রসিংহ পরাক্রম " এবং অপর পাশে " কুমারগুপ্ত " লেখা উৎকীর্ণ ছিল। ১৮৭২ সালে মহাস্থানগড়ে আরেকজন কৃষক ধানক্ষেত চাষ করতে গিয়ে উঠে আসে সুলতানী আমলের অনেকগুলো রৌপ্য মুদ্রা। এর কয়েক বছর পর আরেকজন কৃষক জমি চাষ করতে গিয়ে একটি ধাতব পাত্র ও একটি স্বর্ণমুদ্রা পান। এ মুদ্রাটিতে কোন লেখা উৎকীর্ণ করা ছিল না, বরং এক পাশে পদ্মাসনা নারী মূর্তি এবং অপর পাশে দণ্ডায়মান পুরুষ মূর্তি খোদিত ছিল। ঠিক এম