ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (২য় পর্ব)
ছবিতে: টেরাকোটা/ পোড়ামাটির ফলক ও পাথরের কারুকার্য
স্থান: পুন্ড্র-বরেন্দ্রীর গৌরব সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর)
টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক। পাহাড়পুরের কেন্দ্রীয় মন্দিরগাত্র। কেবল দেবদেবী নয়, ঠাই পেয়েছে সাধারণ মানুষের কথাও এসব টেরাকোটায়
টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক
নীহাররঞ্জন রায়ের "বাঙালীর ইতিহাস - আদিপর্ব" এ একটা জায়গায় হঠাৎ নজরে পড়লো সোমপুর বিহার নিয়ে একটি কথা। পতনোন্মুখ পাল সাম্রাজ্যের সাথে সাথে সোমপুর মহাবিহারের ফুরিয়ে আসা সময়ের গল্প এটি:
"একাদশ শতকের শেষাশেষি বা দ্বাদশ শতকের গোড়ায় সোমপুরের এই বিহারে যতি বিপুল শ্ৰীমিত্রের পরম গুরুর গুরু, যতি করুণাশ্ৰীমিত্র বাস করিতেন। তখন একদিন বঙ্গালী-সৈন্যদল আসিয়া বিহারে অগ্নিসংযোগ করে; প্ৰজ্বলমান আলয়ে দেবতার পদাশ্ৰয় করিয়া করুণাশ্ৰী পড়িয়ছিলেন; তবুও সেই গৃহ পরিত্যাগ করেন নাই; সেই ভাবেই অগ্নিদগ্ধ হইয়া তিনি প্রাণত্যাগ করেন। বিপুলশ্রীমিত্র অগ্নিদাহে বিনষ্ট প্রকোষ্ঠগুলির সংস্কার সাধন করেন, বিহার-প্রাঙ্গণে একটি তারা-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সোমপুরীর বুদ্ধমূর্তিকে বিচিত্র স্বর্ণাভরণে অলংকৃত করেন। তিনি নিজে বহুকাল বশী সন্ন্যাসীর মতো সেই বিহারে যাপন করিয়াছিলেন।"
মন খারাপ করা একটুকরো কাহিনী – এমন শত কাহিনী লুকিয়ে আছে ইতিহাসের পরতে পরতে, প্রতিটি প্রত্নস্থানের ইট-পাথর-পোড়ামাটির গায়ে।
প্রাচীরের অলঙ্করণ
পাথরের স্তম্ভ
কারুকার্যময় পাথরের খণ্ড
কারুকার্যময় পাথর
Comments
Post a Comment