ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৬ষ্ঠ পর্ব)

|| জেগে উঠছে ঘুমন্ত বৌদ্ধবিহার ||

ঘুম থেকে জেগে উঠছে কয়েক শতাব্দী ঘুমিয়ে থাকা অগ্রপুরী বিহার। মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা ইতিহাস আপন রূপে ধরা দিচ্ছে।

দীর্ঘদিন পর গত ২৬ জানুয়ারী, ২০২১ থেকে উৎখনন কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক শাখা। এবার দুই মাসব্যাপী উৎখনন কাজ চলবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার কিছুটা অবসান হবে – জানা যাবে কেমন ছিল অগ্রপুরী বিহার, কবে নির্মিত হয়েছিল বিহারটি।


(Photo Credit: Facebook Page of Department of Archaeology, Rangpur & Rajshahi Division)

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন সদরে আগ্রাদ্বিগুন বাজারে অবস্থিত বিশাল প্রাচীন ঢিবিটি অগ্রপুরী বিহার নামে পরিচিত। তিব্বতীয় প্রাচীন গ্রন্থের আলোকে প্রত্নস্থানটিকে অগ্রপুরী বিহার হিসেবে সনাক্ত করা হয়।

বহু আগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখানে প্রাথমিক জরিপ ও উৎখনন চালিয়ে কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করে এবং ঢিবিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে। তবে এই প্রথম বিস্তারিত উৎখনন কাজ শুরু করা হলো স্থাপনাটিতে।






উৎখননের প্রথম কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার ফলে বেরিয়ে এসেছে বৌদ্ধ বিহারের কাঠামো, ভিক্ষুকক্ষ সদৃশ অবকাঠামো। কি কি নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে তা এই মুহূর্তে বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা কেবল এটুকু জানিয়েছেন যে বিহারটি পাল আমলের পরেও মুসলিম আমল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছিল। আরো বিশদ উৎখনন করলে বিষয়টি পরিস্কার বোঝা যাবে।












আমি উৎখনন কাজ দেখতে গিয়ে দেখলাম, বিহারের উত্তর বাহু বরাবর খনন কাজ চলছে। স্থাপনার এক বিরাট অংশ উন্মোচিত হয়েছে। এক স্থানে সামান্য খুঁড়তেই বেরিয়ে এল মৃৎপাত্র - কিছুটা ভগ্ন অবস্থায় এবং অক্ষত অবস্থায় সসার সদৃশ একটি পাত্র। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আমার জন্য। ইতিহাসের একটি পাতা মাটির নীচ থেকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম নিজের চোখে। আশা করছি অচিরেই অনেক অজানা অধ্যায় আমরা জানতে পারবো।





Please Note: If you want to use any of our writing or photograph, please write to us for permission (email: suvopartho@gmail.com). Please respect the efforts of the author.

Comments

Popular posts from this blog

খোদার পাথর ভিটা, পুণ্ড্রনগর (মহাস্থানগড়)

গোবিন্দ ভিটা, মহাস্থানগড়

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৪র্থ পর্ব)