Posts

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৮ম পর্ব)

Image
|| কমলার নৃত্য ও জয়াপীড় || ভালো করিয়া বাজাও গো দোতারা সুন্দরী কমলা নাচে, সুন্দরী কমলা চরণে নূপুর রিনিঝিনি করিয়া বাজে রে... নাচতে জানুক বা না জানুক উপরের গানের কলি কয়টি জানে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বাংলার নাচের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এ গানটি প্রাচীন কোন অজানা স্বভাবকবি রচনা করেছিলেন যা লোকমুখে আজো কমলার নৃত্যের কথা বলে। কখনো কি ভেবেছেন কে এই কমলা? আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি যে কমলা এ বাংলার একজন নারী, বস্তুত পুণ্ড্র-তনয়া। একজন দেবদাসী হয়েও যিনি ইতিহাসের পাতায় একটি উজ্জ্বল নাম। স্কন্দ গোবিন্দয়োর্ম্মধ্যে গুপ্তা বারাণসী পুরী। তত্রারোহণ মাত্রেণ নরো নারায়ণো ভবেৎ।। করতোয়া মাহাত্ম্যে বর্ণিত পুন্ড্রনগরের স্কন্দ বা কার্তিকেয় মন্দির ভারতে বিখ্যাত। স্কন্দ পুরাণেও এ মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। কমলা এই স্কন্দ মন্দিরের দেবদাসী ছিলেন। তিনি নৃত্যগীতে পারদর্শী ও অসামান্যা সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন। কমলার কথা বলতে গেলে রাজতরঙ্গিণী গ্রন্থ ও কাশ্মীররাজ জয়াপীড়ের কথা চলে আসে; কারণ এ তিনটি একই সুতায় গাঁথা। কবি কহলন এর রাজতরঙ্গিণী নিঃসন্দেহে একটি মহত্তম সৃষ্টি, যেখানে শুধু কাব্য নয়, ইতিহাসের নির্ভরযোগ্...

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৭ম পর্ব)

Image
|| বাংলার জমিদার ও রায়তের কথা || বালিয়াটি জমিদারবাড়ি  আজকের প্রসঙ্গটি একটু আলাদা। কমল চৌধুরী সম্পাদিত " বাংলার জমিদার ও রায়তের কথা " বইটি পড়তে গিয়ে দেখলাম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রমথ চৌধুরীর মধ্যে চিঠি বিনিময় বাংলার রায়ত ও জমিদার প্রসঙ্গে। ভাবলাম চিঠিটি ইতিহাসের পাঠকদের মনে চিন্তার খোরাক যোগাবে। নীচের চিঠিটি কবিগুরু লিখেছেন প্রমথ চৌধুরীকে। যে দুটি ছবি এখানে দিলাম এই ভেবে যে, যেহেতু প্রসঙ্গটি জমিদার ও রায়তকে নিয়ে, আমার দেখা সেরা জমিদারবাড়িগুলি থেকে সেরা যেকোনো একটির ছবি রূপক হিসেবে দেয়া যায়। আমার মনের স্বেচ্ছাচারিতাও বলতে পারেন কেউ কেউ।   শ্রীমান প্রমথনাথ চৌধুরী কল্যাণীয়েষু,  আমাদের শাস্ত্রে বলে, সংসারটা ঊর্ধ্বমূল অবাঙ্‌শাখ। উপরের দিক থেকে এর শুরু, নীচে এসে ডালপালা ছড়িয়েছে; অর্থাৎ নিজের জোরে দাঁড়িয়ে নেই, উপরের থেকে ঝুলছে। তোমার "রায়তের কথা' পড়ে আমার মনে হল যে, আমাদের পলিটিক্‌স্‌ও সেই জাতের। কন্‌গ্রেসের প্রথম উৎপত্তিকালে দেখা গেল, এই জিনিসটি শিকড় মেলেছে উপরওয়ালাদের উপর মহলে-- কি আহার কি আশ্রয় উভয়েরই জন্যে এর অবলম্বন সেই ঊর্ধ্বলোকে। যাঁদের আমরা ভদ্রলোক ...

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৬ষ্ঠ পর্ব)

Image
|| জেগে উঠছে ঘুমন্ত বৌদ্ধবিহার || ঘুম থেকে জেগে উঠছে কয়েক শতাব্দী ঘুমিয়ে থাকা অগ্রপুরী বিহার। মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা ইতিহাস আপন রূপে ধরা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন পর গত ২৬ জানুয়ারী, ২০২১ থেকে উৎখনন কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক শাখা। এবার দুই মাসব্যাপী উৎখনন কাজ চলবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার কিছুটা অবসান হবে – জানা যাবে কেমন ছিল অগ্রপুরী বিহার, কবে নির্মিত হয়েছিল বিহারটি। (Photo Credit: Facebook Page of Department of Archaeology, Rangpur & Rajshahi Division) নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন সদরে আগ্রাদ্বিগুন বাজারে অবস্থিত বিশাল প্রাচীন ঢিবিটি অগ্রপুরী বিহার নামে পরিচিত। তিব্বতীয় প্রাচীন গ্রন্থের আলোকে প্রত্নস্থানটিকে অগ্রপুরী বিহার হিসেবে সনাক্ত করা হয়। বহু আগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এখানে প্রাথমিক জরিপ ও উৎখনন চালিয়ে কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করে এবং ঢিবিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে। তবে এই প্রথম বিস্তারিত উৎখনন কাজ শুরু করা হলো স্থাপনাটিতে। উৎখননের প্রথম কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার ফলে বেরিয়ে এসেছে বৌদ্ধ বিহারের কাঠামো, ভিক্ষুকক্ষ সদৃশ অ...

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৫ম পর্ব)

Image
" মমার সুজস্বীষা " – সৎকর্ম স্মরণীয় (Good deeds are remembrance)।  সোমপুর মহাবিহারে আবিস্কৃত প্রচুর প্রস্তরমূর্তিগুলির মধ্যে ছবির মূর্তিটি অন্যতম। খ্রিষ্টীয় নবম শতকে নির্মিত বিষ্ণুমূর্তিটির পাদদেশে উৎকীর্ণ আছে উপরের কথাদুটি – মমার সুজস্বীষা। আবহমান কাল ধরে বরেন্দ্রবাসী, তথা সমগ্র মানবজাতিকে সৎকর্ম/ভালো কাজ করার বার্তা দিয়ে চলেছে বরেন্দ্রের শিল্পীর হাতে গড়া এ শিল্পকর্মটি। শিল্পের ভেতর দিয়ে অতীত ও বর্তমানের সংযোগ স্থাপন করে নির্মাণকারী শিল্পী নিজেও অমর হয়ে রয়েছেন।  একসময় উত্তরবঙ্গে, বিশেষত বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রস্তরশিল্প যে চরম উৎকর্ষতা লাভ করেছিলো বর্তমান সময়ে তা অবিশ্বাস্য মনে হতো যদি না আজকের জাদুঘরগুলিতে এ অঞ্চলে পাওয়া এত এত পাথরের ভাস্কর্য না দেখা যেতো। পাথরের অপ্রতুলতা সত্বেও কিভাবে বরেন্দ্রে এ শিল্পের বিকাশ ঘটলো এবং বাংলার বাইরে সুদূর বালিতেও তার প্রভাব পৌঁছে গেলো, সেটি যথেষ্ট বিস্ময়কর। বিশেষ করে পাল আমলে শিক্ষা-দীক্ষার পাশাপাশি বরেন্দ্রের শিল্পখ্যাতি উচ্চতর সীমায় পৌঁছায়। তিব্বতের লামা তারানাথ ভারতে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস লিখতে গিয়ে আলোচনা করেছেন বরেন্দ্রের সুসমৃদ্ধ শিল্পকলার ক...

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (৩য় পর্ব)

Image
ধ্বংসস্তুপের উপরে দাঁড়িয়ে কোন এক অতীত থেকে। স্থান : পুন্ড্রনগর (মহাস্থানগড়) পুন্ড্রনগরের সবচেয়ে উঁচু ঢিবির উপরে অবস্থিত শাহ সুলতান বলখী মাহী সওয়ার (রঃ) এর মাজার ও সম্রাট ফররুখশিয়ারের আমলের মসজিদ। মাজার থেকে একটু দূরে রয়েছে কবরস্থান, যেখানে পড়ে আছে অনেক পাথরখন্ড।  মাজারের অদূরে কয়েকটা গাছের নিচে একা ছবির এই তোরণটি দাঁড়িয়ে। তোরণটি কিসের তা জানি না। তবে সেটাতে মুসলিম-পূর্ব যুগের পাথরের ব্যবহার সুস্পষ্ট। মাজারটি যে ঢিবিতে অবস্থিত তার নিচে নিঃসন্দেহে চাপা পড়ে আছে গুপ্ত বা পাল আমলের কোন স্থাপনা। এই বিষয়টা সুনিশ্চিত হলেও ঢিবিতে আর খননকাজ করা কখনো সম্ভব নয়, যেহেতু ঢিবির উপরে মাজার ও প্রাচীন মসজিদ রয়েছে। সুতরাং পুন্ড্রনগরের একটি অধ্যায় অপঠিতই আছে ও থাকবে। তবুও ঘুরতে ঘুরতে তোরণটিতে আমার দৃষ্টি আটকে যায়, তাই এটা হারিয়ে যাবার আগেই ফ্রেমে বেঁধে রাখলাম। Follow us in Facebook

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (২য় পর্ব)

Image
ছবিতে: টেরাকোটা/ পোড়ামাটির ফলক ও পাথরের কারুকার্য স্থান: পুন্ড্র-বরেন্দ্রীর গৌরব সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর) টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক। পাহাড়পুরের কেন্দ্রীয় মন্দিরগাত্র। কেবল দেবদেবী নয়, ঠাই পেয়েছে সাধারণ মানুষের কথাও এসব টেরাকোটায়  টেরাকোটা বা পোড়ামাটির ফলক  নীহাররঞ্জন রায়ের " বাঙালীর ইতিহাস - আদিপর্ব " এ একটা জায়গায় হঠাৎ নজরে পড়লো সোমপুর বিহার নিয়ে একটি কথা। পতনোন্মুখ পাল সাম্রাজ্যের সাথে সাথে সোমপুর মহাবিহারের ফুরিয়ে আসা সময়ের গল্প এটি: "একাদশ শতকের শেষাশেষি বা দ্বাদশ শতকের গোড়ায় সোমপুরের এই বিহারে যতি বিপুল শ্ৰীমিত্রের পরম গুরুর গুরু, যতি করুণাশ্ৰীমিত্র বাস করিতেন। তখন একদিন বঙ্গালী-সৈন্যদল আসিয়া বিহারে অগ্নিসংযোগ করে; প্ৰজ্বলমান আলয়ে দেবতার পদাশ্ৰয় করিয়া করুণাশ্ৰী পড়িয়ছিলেন; তবুও সেই গৃহ পরিত্যাগ করেন নাই; সেই ভাবেই অগ্নিদগ্ধ হইয়া তিনি প্রাণত্যাগ করেন। বিপুলশ্রীমিত্র অগ্নিদাহে বিনষ্ট প্রকোষ্ঠগুলির সংস্কার সাধন করেন, বিহার-প্রাঙ্গণে একটি তারা-মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং সোমপুরীর বুদ্ধমূর্তিকে বিচিত্র স্বর্ণাভরণে অলংকৃত করেন। তিনি নিজে বহুকাল বশী সন্ন্যাসীর মতো সেই ব...

হারিয়ে যাওয়া রামাবতী নগরী: কিছু কথা

Image
কৈবর্ত বিদ্রোহ - দোদুল্যমান পাল সাম্রাজ্যের উপর সবচেয়ে বড় আঘাত, যা পালরাজদের বিতাড়িত করে বরেন্দ্র থেকে। দিব্ব্যোক - রুদোক - ভীম বরেন্দ্রকে পালদের হস্তচ্যুত করে রাখে ১১/১২ বছর। অবশেষে পালদের ভাগ্যলক্ষ্মী ফিরলো রামপাল ও তাঁর আঠারো রথীমহারথীর হাত ধরেই। ফলশ্রুতিতে ভীম পরাস্ত ও নিহত এবং বরেন্দ্র পালদের করায়ত্ত। সেই সাথে পাল সাম্রাজ্য নিভতে বসা প্রদীপের মত শেষবার জ্বলে উঠলো উজ্জ্বলভাবে। রামপাল বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করে মনোযোগ দিলেন শাসন সুসংহত করতে আর জনগণের মন জয় করতে। স্থাপন করলেন নতুন রাজধানী রামাবতী এবং গৌরববর্ধন করলেন জগদ্দল মহাবিহারের। মনে প্রশ্ন জাগে, বরেন্দ্রের প্রতি রামপালের এই টান ও ভালোবাসা কি কেবলই পিতৃভূমি বলে? নাকি রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক কারণও বিদ্যমান? আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দ্বিতীয় কারণটাই মুখ্য ও প্রথমটি গৌণ।  (জগদ্দল মহাবিহারের মূল ঢিবির পাশের অনাবিষ্কৃত ঢিবি) বরেন্দ্র তো স্বর্ণপ্রসবিনী - শস্য সম্পদের প্রাচুর্য তো সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই। আবার কামরূপ তো বরেন্দ্র থেকে হাতের নাগালে - এটাও কিন্তু উপেক্ষণীয় নয়। মহীপাল ও অন্যান্য পাল রাজারা বারংবার কামরূপ জয় করেছেন বলেই জানা যায়। খোদ...

ছবির ইতিহাস, ইতিহাসের ছবি (১ম পর্ব)

Image
হঠাৎ পাওয়া.....  শংকরের " কত অজানারে " উপন্যাসের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন: "এক পরম পূণ্য লগ্নে টেম্পল চেম্বারে এসেছিলাম। দেখতে পেয়েছি জীবনের এক মহা ঐশ্বর্যময় দিক। কোনো পরিশ্রম, কোনো অনুসন্ধান না করে আকস্মিক গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছি। আচমকা হোঁচট খেয়ে চেয়ে দেখলাম, পায়ের কাছে কলসী বোঝাই মোহর।" এমনি করে আমিও দেখা পেয়েছিলাম ছবির বাড়িটিকে। ২০১৮ সালে মহাস্থান ভ্রমণের সময় ভাসু বিহার দেখব বলে বেরিয়েছিলাম। দুপুরের রোদ মাথায় করে বিহার গ্রাম বাজারে পৌঁছাতেই চোখ আটকে গেলো বাজারের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল বাড়িটিতে। নেমে পড়লাম দেখবো বলে। বাড়িটার নাম লেখা "বিলাস ভবন", ১৯৪২ সালে স্থাপিত।  বাজারের এক দোকানদারকে প্রশ্ন করতে জানতে পারলাম কোন এক ধনী হিন্দু পরিবারের বাড়ি ছিলো এটি। ১৯৪৭ এর দেশভাগের ডামাডোলে ভারতে চলে গেছে কত স্বপ্ন দিয়ে গড়া বাড়িটি রেখে। সেই কবেই সে পরিবারের স্মৃতি ধূলায় ঢেকে গেছে। শুধু আছে অজানা কত গল্প-কথা, হাসি-কান্না আর একটা দীর্ঘশ্বাস! কে তার খোঁজ রাখে..... কত অজানারে!

হলুদ বিহার: বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে

Image
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অন্তর্গত বিলাসবাড়ি ইউনিয়নের হলুদ বিহার গ্রামে সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর) এর সমসাময়িক হলুদ বিহার অবস্থিত। মজার বিষয় হল, যে স্থানে হলুদ বিহারের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত সে জায়গার আরেকটি নাম দ্বীপগঞ্জ, যেটি একটি গ্রাম্য হাট। হলুদ বিহারের অবস্থান সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর) থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পুন্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়) থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। প্রতীয়মান হয় হলুদ বিহার সোমপুর মহাবিহার, ভাসু বিহার ও মহাস্থানগড়ের সাথে সড়কপথে যুক্ত ছিলো। হলুদ বিহার থেকে ৫ - ৬ কিলোমিটার যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম দিয়ে বয়ে চলেছে তুলসীগঙ্গা ও ছোট যমুনা নদী। সমস্ত হলুদ বিহার গ্রামটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রাচীন স্থাপনার চিহ্নবিশেষ, ইটের টুকরো ও খোলামকুচি। স্থানীয় জনগণ হলুদ বিহার রাজা হলধর ও সোনাভানের লোককাহিনীর সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করে। (হলুদ বিহার ঢিবি) হলুদ বিহার সম্পর্কে অক্ষয়কুমার মৈত্র মত প্রকাশ করেছেন:  "পাহাড়পুরের আড়াই ক্রোশ দক্ষিণে এইরূপ একটি বিহারের ধবংসাবশেষ আবিষ্কৃত হইয়াছে; তাহা এখনও “হলুদ-বিহার” নামে পরিচিত। পাহাড়পুরের আধুনিক নিরক্ষর অধিবাসিবর্গ...